দেশজুড়ে

দেশব্যাপী চামড়া নিয়ে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ চামড়ার বাজারে ধস নামায় দেশের বিভিন্ন জেলায় চামড়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। লোকসান থেকে বাঁচতে অনেকে লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণের চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় পার্শ্ববর্তী দেশে চামড়া পাচারের আশঙ্কা করা হলেও তা সম্ভব নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

যশোরের রাজারহাটে জমেনি চামড়ার হাট। অল্প কিছু চামড়া উঠলেও দাম নিয়ে অসন্তোষ বিক্রেতাদের। একটি গরুর চামড়া মাত্র ২০ টাকাও দাম বলছেন কেউ কেউ। এ অবস্থায় পার্শ্ববর্তী দেশে চামড়া পাচারের শঙ্কা করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

এক ব্যবসায়ী বলেন, ৮ পিস চামড়া ক্রয় করেছি যার দাম পড়েছে ৪ হাজার ৫শ টাকা। এর মধ্যে ৪টা চামড়া তিন হাজার টাকা বিক্রি করেছি। বাকি ৪টা চামড়া ৪শ টাকা বলছে।

আরেকজন বলেন, ৫৫০ টাকা করে কেনা, আর এখন দাম বলে ১শ টাকা।

যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি বৃহত্তর সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, ট্যানারির মালিকদের কাছে ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ টাকা পাবে, ব্যবসায়ীরা কিন্তু সেই পরিমাণে টাকা পায়নি। তাই একদিকে যেমন তারা হতাশায় আছে, অন্যদিকে পরিবার নিয়ে খারাপ অবস্থায় আছে।

নাটোরের আড়ৎগুলোতে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এ অবস্থায় আশপাশের জেলা থেকে আসা বিক্রেতারা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাধ্য হয়ে লবণজাত করে চামড়া সংরক্ষণের চেষ্টা করছেন তারা।

তবে দরপতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আড়ৎদাররা।

নাটোর চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান লাল্টু বলেন, সরকারকর্তৃক ট্যানারির মালিকের যে রেট নির্ধারণ করেছে। সেই রেট অনুযায়ী আমরা চামড়া ক্রয় বিক্রয় করেছি।

ময়মনসিংহে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় বাধ্য হয়ে কম দামে চামড়া বিক্রি করে দিয়েছেন অনেকে। আর সংগ্রহ করা চামড়া সংরক্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছেন আড়ৎদাররা। লবণ দিয়ে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে গরু-খাসির চামড়া।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close