গার্মেন্টসপ্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য

দেশের পোশাকখাতে ফিরছে বাতিল হওয়া কয়েক’শ কোটি টাকার কার্যাদেশ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জটিলতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাত। গত দু’মাসে স্থগিতের পাশাপাশি বাতিল হয়ে যাওয়া কয়েক’শ কোটি টাকার কার্যাদেশ আবার দিতে শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রেতারা। তবে যত দ্রুত সম্ভব চাহিদা অনুযায়ী পোশাক পাঠাতে পারবে, ততো বেশি কার্যাদেশ দেয়ার শর্ত দিচ্ছে তারা।

চলতি বছরের শুরু থেকেই বিপর্যয় শুরু হয় গার্মেন্টস শিল্পে। চীনের উহানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার সাথে সাথে জানুয়ারি মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় গার্মেন্টস পণ্যের জাহাজিকরণ। ফেব্রুয়ারি মাসে দেখা দেয় কাঁচামালের সংকট। আর মার্চ এবং এপ্রিল মাসে আসতে থাকে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কার্যাদেশ স্থগিতের পাশাপাশি বাতিলের নির্দেশ। তবে বর্তমানে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে বলে দাবি বিজিএমইএ নেতাদের।

বিজিএমইএ পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ বলেন, ২৬ এপ্রিলের পর থেকে বায়ারদের সাথে আমাদের যোগাযোগ হতে শুরু করেছে। বায়াররা গত দু’মাসে স্থগিতের পাশাপাশি বাতিল হয়ে যাওয়া কয়েক’শ কোটি টাকার কার্যাদেশ আবার দিতে শুরু করেছে।

গত দু’মাসে ঢাকা ও চট্টগ্রামের গার্মেন্টসগুলোর অন্তত ৩শো কোটি ডলারের কার্যাদেশ আটকে যায়। এ অবস্থায় মে মাসের শুরুতে গার্মেন্টস কারখানাগুলো খুলতে শুরু করলে যোগাযোগ বাড়াতে থাকে ক্রেতারা। এতে আশার আলো দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

বিজিএমইএ সহ সভাপতি এ এম চৌধুরী সেলিম বলেন, সময় চাচ্ছেন কখন মাল দেয়া যাবে, মানে পজিটিভভাবেই তারা আসছেন।

ইতোমধ্যে কার্যাদেশ অনুযায়ী, মালামালও পাঠাতে শুরু করেছেন অনেক গার্মেন্ট মালিক।

এদিকে নানা জটিলতায় চট্টগ্রাম বন্দরে কিছুটা কন্টেইনার জট থাকলেও গার্মেন্টস শিল্পের আমদানি-রপ্তানি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হচ্ছে বলে জানালেন বন্দরের কর্মকর্তা।

সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, গার্মেন্টসের এক্সপোর্ট যেটা হয়, সেটা ১০০ ভাগ ডিপো থেকে হয়। ডিপো থেকে আসলে সরাসরি মাঝে মাঝে শিপমেন্ট হয়ে যায়।

রাজধানী ঢাকা ছাড়া গাজীপুর,সাভার, নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রামে সাড়ে চার হাজারের বেশি গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে রয়েছে প্রায় ৩ শো কারখানা।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close