প্রধান শিরোনামরাজস্বশিল্প-বানিজ্য

নতুন নিয়মে খরচ করতে হবে বাজেটের অর্থ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ অর্থবছরের শুরুর দিকে বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণসহ ব্যয়েও তেমন কোনো পরিকল্পনা থাকে না। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়ের গুণগতমান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। পাশাপাশি সরকারের এ আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার একটি প্রধান কারণ রাজস্ব আহরণ ও সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিকল্পনা না থাকা।

জাতীয় সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত বাজেট সুষ্ঠুভাবে সময়মতো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগাম পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবের নিকট পাঠিয়েছে অর্থ বিভাগ। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পরিপত্রে ব্যয় পরিকল্পনার বিষয়ে বলা হয়, পরিচালন বাজেটের আওতাধীন বিভিন্ন অপারেশন ইউনিটের ব্যয় পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য নির্দিষ্ট ফরম এবং উন্নয়ন বাজেটের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন স্কিম বা প্রকল্পের জন্য কোয়ার্টারভিত্তিক ব্যয় পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য আলাদা ফরম ব্যবহার করতে হবে। পরিচালন বাজেটের ক্ষেত্রে সকল অধিদফতর, পরিদফতর বা অপারেশন ইউনিট এবং উন্নয়ন বাজেটের ক্ষেত্রে সকল স্কিম বা প্রকল্পের জন্য ব্যয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ব্যয় পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত নীতিমালা বা পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

>> বেতন ও ভাতাদিসহ যে সকল আইটেমের বিপরীতে বরাদ্দকৃত অর্থ সাধারণত সমানুপাতিক হারে ব্যয় হয়ে থাকে সে সকল আইটেমের বিপরীতে কোয়ার্টারভিত্তিক ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা সমানুপাতিক হারে নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনের ক্ষেত্রে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির আর্থিক সংশ্লেষ বিবেচনায় রাখতে হবে। তাছাড়া উৎসব ভাতা ও শ্রান্তিবিনোদন ভাতা বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ সংশ্লিষ্ট কোয়ার্টারে প্রদর্শন করতে হবে।

>> প্রত্যেক মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্য পূর্ববর্তী মাসের সকল ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী প্রত্যেক কোয়ার্টারে প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ প্রদর্শন করতে হবে। সরবরাহ ও সেবা খাতের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য আইটেমের ক্ষেত্রে বিগত বছরসমূহের ব্যয়ের প্যাটার্ন বিবেচনায় নিয়ে কোয়ার্টারভিত্তিক বরাদ্দ নির্ধারণ করতে হবে।

>> অর্থবছরের প্রথম কোয়ার্টার হতেই মেরামত ও সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া এমনভাবে শুরু করতে হবে যেন অর্থবছরের বিভিন্ন কোয়ার্টারে মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের বিল মোটামুটি ভারসাম্যপূর্ণভাবে পরিশোধ করা যায় এবং অর্থবছরের শেষ কোয়ার্টারে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে বিল পরিশোধের চাপ সৃষ্টি না হয়।

>> সম্পদ সংগ্রহ ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে পরিচালন ও উন্নয়ন উভয় বাজেটের আওতায় সংগৃহীতব্য পণ্য ও সেবার জন্য সংগ্রহ পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে হবে। উক্ত সংগ্রহ পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রত্যেক কোয়ার্টারে যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা আবশ্যক হবে ব্যয় পরিকল্পনায় তার যথাযথ প্রতিফলন থাকতে হবে।

>> সাহায্য মঞ্জুরি ও অনুদানের অর্থ সাধারণত অর্থবছরের চার কোয়ার্টারে ৪টি সমান কিস্তিতে অবমুক্ত করা হয় বিধায় সে অনুযায়ী এ খাতের অর্থ অবমুক্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close