দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

নাপা নয়, মিষ্টির সাথে বিষ খাইয়ে ২ শিশুকে হত্যা করে মা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জের দুই সহোদর শিশু মৃত্যুর ঘটনা নাপা সিরাপ নয়, মিষ্টির সাথে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিষ্টির সঙ্গে শিশুদের বিষ খাওয়ানোর কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ ) বিকেল ৩টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফিং করবে পুলিশ।

এ ঘটনার পর নিহত দুই শিশুর পিতা ইটভাটা শ্রমিক ইসমাইল হোসেন সুজন বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকালে বাদী হয়ে আশুগঞ্জে থানায় তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় পুলিশ ঘাতক শিশুদের “মা” লিমা আক্তারকে গ্রেফতার করে। পড়ে সে এই হত্যাকাণ্ডের কথা পুলিশের কাছে শিকার করে। এরপর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বেগম আরেফিন আহম্মেদ হ্যাপী আদালতে আনা হয়।

বর্তমানে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় লিমার জবানবন্দি রেকর্ড করা হচ্ছে। এ নিয়ে আজ বিকেল তিনটায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিং এর আয়োজন মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন সাংবাদিকদের জানান দীর্ঘদিন ধরে আশুগঞ্জ উপজেলার এসআলম অটো রাইস মিল এর সর্দার সফিউল্লা উরুফে সফাই মিয়ার সাথে লিমার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি পুলিশ ঘটনার পর থেকে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে নিশ্চিত হয়। পরবর্তী সময়ে গতকাল রাতে লিমা আক্তার কে পুলিশের হেফাজতে আনা হয়। পরে ১৬১ ধারায় পুলিশের কাছে লিমা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কথা স্বীকার করে। ঘটনার পর থেকে পরকীয়া প্রেমিক সফিউল্লা উরুফে সফাই মিয়া পলাতক রয়েছে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান জানান, নাপা সিরাপ খাওয়ার আগেই মিষ্টির সাথে পরকীয়া প্রেমিকের প্ররোচনায় বিষ খাওয়ানো হয়েছিল। পরে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নাপা সিরাপ এর উপর দিয়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রেমিকের শর্ত ছিল দুই শিশুকে পথের কাঁটা থেকে সরিয়ে দিলে তারা উভয়েই বিয়ে করবে এর অংশ হিসেবেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে জানান ওসি আজাদ রহমান। তিনি জানান, আমরা চেষ্টা করছি পরকীয়া প্রেমিককে গ্রেফতার করার জন্যে। তাকে গ্রেফতার করা হলে খুনের পেছনের পুরো পরিকল্পনার বিষয়টি বের হয়ে আসবে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close