দেশজুড়ে
নৃত্যশিল্পীকে ভাড়া করে এনে গণধর্ষণ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক নৃত্যশিল্পীকে মঞ্চ অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া করে গণধর্ষণ করছে পাঁচ বখাটে যুবক। এ ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকার কাশবনে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। একটি কোম্পানির স্টেজ প্রোগ্রামে নাচের কথা বলে ওই শিল্পীকে কাশবনে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উপজেলার সুচারগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল্লাহর ছেলে মাহমুদুল হাসান হিমেল, কালিগঞ্জ গ্রামের মৃত আলী আহম্মেদের ছেলে সফিকুল ইসলাম রনি, ইলিয়াজদি গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে সানজিদ, হাসানের ছেলে সজিব ও বন্দর উপজেলার পিছকামতাল গ্রামের মজিবর মিয়ার ছেলে সিয়াম।
ভুক্তভোগী নৃত্যশিল্পী জানান, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে তিব্বত কোম্পানির একটি মঞ্চ অনুষ্ঠান হবে বলে মাহমুদুল হাসান হিমেল তাকে ছয় হাজার টাকায় চুক্তি করে। এর মধ্যে এক হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে অগ্রিম প্রদান করে। তাদের কথা মতো নূপুর ও তার স্বামী হুমায়ূন কবির, তার সঙ্গী আশামণি ও আরেক নৃত্যুশিল্পী মামুনকে নিয়ে ১২টার দিকে দড়িকান্দি সেফওয়ে আইসক্রিম ফ্যাক্টরির গেটের কাছে গিয়ে মাহমুদুল হাসান হিমেলকে ফোন দেয়। এসময় হিমেল নূপুর ও তার সাথে থাকা আরেক নৃত্যশিল্পী মামুনকে মেকআপ ও জামা চেঞ্জ করার জন্য কনকট কোম্পানির বালুর মাঠ দিয়ে কাঁশবনের ভেতরে ঢোকে। তাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে জিজ্ঞেস করলে হিমেল জানায়, সামনে তারা একটি বাড়িতে গিয়ে মেকাপ ও জামা চেঞ্জ করবে। এরপর কাঁশবনের মাঝখানে গেলে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা সজিব, রনি, সানজিদ ও সিয়াম অস্ত্রের মুখে মামুনকে জিম্মি করে অন্যত্র নিয়ে যায়। পরে নূপুরকে চারজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর এসআই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হিমেল, রনি ও সজিবকে গ্রেপ্তার করে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুজ্জামান জানান, মামলা দায়েরের সাথে সাথে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করতে থানা পুলিশের কয়েকটি বিশেষ টিম অভিযানে নেমেছে। আমরা তিনজন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি দু’জনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নূপুরকে নারায়ণগঞ্জ জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
