বিশ্বজুড়ে

ন্যাড়া হচ্ছেন চীনা নার্সরা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে মরণঘাতী করোনাভাইরাস। যতই দিন যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা ততই বেড়ে চলেছে এই ভাইরাসে। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ভালোভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য উহানের নারী সেবিকারা নিজেদের মাথার লম্বা চুলও কেটে ফেলে দিচ্ছেন। সুরক্ষা সামগ্রী ভালোভাবে ব্যবহার এবং নিজেদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস যাতে না ছড়ায়, সেই জন্যই ন্যাড়া হচ্ছেন চীনা নার্সরা।

নারী সেবিকারা নিজেদের মাথা ন্যাড়া করে ফেলার ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমার পাশাপাশি স্বল্প সময়ে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পোশাক পরে প্রস্তুত হতে পারছেন। তাছাড়া দেশের এ দুর্যোগ কালে সেবিকাদের কাছে প্রতিটি মুহূর্তের মূল্য অনেক, চুলের বাড়তি যত্নও নিতে হচ্ছে না তাদের। চুল না থাকার ফলে সুরক্ষার জন্য পরিধান করা পোশাক ভালোভাবে ত্বকের সংস্পর্শে আসছে। নারীদের লম্বা চুল থাকার কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবায় কিছুটা হলেও সমস্যা হয়।

এদিকে, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর পর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পদচ্যুত করেছে দেশটির সরকার। এ ব্যাপারে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা পদচ্যুত হয়েছেন, তাদের মধ্যে হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধান এবং ওই কমিশনে নিয়োজিত কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদকও রয়েছেন। এ পর্যন্ত পদচ্যুতদের মধ্যে তারাই সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

সরকারি সাহায্য দেয়ার ক্ষেত্রে অবহেলার দায়ে হুবেই রেড ক্রসের উপ-পরিচালককেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, প্রাদুর্ভাব চলা অবস্থায় হুবেই ও অন্যান্য প্রদেশের কয়েকশ ব্যক্তিকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, অনেককে সতর্ক করা হয়েছে এবং কারো কারো বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত তিন হাজার তিনশ ৪৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রমণ ও নিরাপত্তা কেন্দ্রের পরিচালক ডা. লিপকিন করোনাভাইরাস পর্যবেক্ষণের জন্য বর্তমানে চীনে রয়েছেন। গুয়াংঝো, বেইজিং, উহানসহ বিভিন্ন জায়গায় তিনি ঘুরে ঘুরে চিকিৎসকদের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার পরামর্শ দিচ্ছেন।

ডা. লিপকিন বলেন, করোনাভাইরাস ঠিক কোথায় গিয়ে থামবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এই ভাইরাসের ভ্যাকসিনের অভাব ক্ষণে ক্ষণে টের পাচ্ছি।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close