পাটের রফতানি বাড়াতে আরো প্রদর্শনীর নির্দেশ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বহুমুখী পাটপণ্যের রফতানি বাজার সম্প্রসারণ করতে দেশে ও বিদেশে আরো বেশি প্রদর্শনী করার নির্দেশ দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এমপি।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের করিম চেম্বারে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) কর্তৃক আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক রেখা রানী বালো।

মন্ত্রী বলেন, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) মাধ্যমে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন, ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেছে। এরই মধ্যে উদ্যোক্তারা ২৮২ ধরনের দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন। এর অধিকাংশই রফতানি করা হচ্ছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে জনপ্রিয় করতে প্রচার-প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করার কাজ চলছে। এসব মেলা পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশী ক্রেতাদের মধ্যে অধিক যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক হবে। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য মেলায় বহুমুখী পাটপণ্যের প্রতি মানুষের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জেডিপিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, যত পারেন পাটপণ্যের মেলার আয়োজন করতে হবে। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে, তেমনি এ খাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে। এতে করে তারা দেশের বাইরেও পাটপণ্য রফতানি করতে উৎসাহী হবেন। এ বছর মেলা কয়টি করবেন আমাদের জানাবেন। মেলা হলে উদ্যোক্তারা লাভবান হবেন। অনেক উদ্যোক্তাই দেশের বাইরে যেতে পারেন না। মেলা হলে তারা লাভবান হবেন।

তিনি বলেন, পাট খাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে খাতটি অসামান্য অবদান রাখছে। যদিও কালের পরিক্রমায় কৃত্রিম তন্তুর (পলিথিন) ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের চলমান পৃষ্ঠপোষকতার কারণে পাট খাতের হূত ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার এবং অধিক সমৃদ্ধিশালী করা সম্ভব হয়েছে। করিম চেম্বারে চলমান পাঁচদিনের এ প্রদর্শনী শেষ হবে ৮ সেপ্টেম্বর।