দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

পুলিশের চৌকস অভিযানে যেভাবে বেঁচে ফিরে ৭ বছরের শিশুটি

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ছোট্ট একটি মেয়ে। বয়স ৭ বছর। শিশুটির বাসা রাজধানীর গুলশান জোনের অধীন বাড্ডা থানাধীন সাতারকুল এলাকায়। তার বাবা রিকশার একটি গ্যারেজের মালিক। সেই গ্যারেজের রিকশা নিয়ে ভাড়ায় চালাতেন জাহিদ (২০) ও আঃ জলিল (১৯) নামের দুই ব্যক্তি। সেই সূত্র ধরে শিশুটির পরিবারের সাথে জাহিদ ও জলিলের সাথে সুস্পর্ক গড়ে ওঠে। কে ভেবেছিলো সেই সম্পর্ক কাল হবে তার জন্য!

গত বুধবার বিকেলে শিশুটিকে অপহরণ করে জাহিদ ও জলিল। এরপর শিশুটির বাবাকে ফোন করে চাওয়া হয় পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ। হয় টাকা দাও, নয়তো যাবে তোমার মেয়ের প্রাণ-এমন হুমকিতে দিকবিদিক সামিয়ার বাবা।

কী করবেন-ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি। ছুটে গেলেন বাড্ডা থানায়। সবকিছু শুনে পুলিশ তাকে আশ্বস্ত করলো। এরপর প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরেই শুরু হয় তদন্ত। রাতভর চলে প্রযুক্তির সাথে পুলিশের বুদ্ধিদীপ্ত তদন্ত কৌশলের মিশেল।অপহরণকারীদের অবস্থান জানার নিরন্তর চেষ্টা।রাত পেরিয়ে ভোর। শেষ পর্যন্ত অবস্থান সনাক্তে সক্ষম হয় পুলিশ। এরপর করা হয় অপরেশন প্ল্যান। পরদিন সকালে টার্গেটকে নির্দিষ্ট করে অভিযান চালায় পুলিশের একটি চৌকস দল।

অভিযান হয় শতভাগ সফল।শিশুটিকে জীবন্ত উদ্ধার করে পুলিশ।তখনও শিশুটির হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা।মুখে স্কচটেপ লাগানো। পুলিশের প্রাথমিক শুশ্রূষায় সুস্থ হয়ে ওঠে সে। তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার হয় দুই অপহরণকারী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি ধারালো চাকু, রশি ও স্কচটেপ।

গ্রেপ্তার হওয়া অপহরণকারীদের জবানীতে তুলে ওঠে গা শিউরে ওঠার মতো তথ্য। অপহরণের পর প্রত্যাশিত মুক্তিপণ না পাওয়ায় শিশুটিকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিলো তারা। হত্যার জন্য সব আয়োজনও রাখা হয়েছিল। কিন্তু নির্মম হত্যাকাণ্ড চালাতে উদ্যত হওয়ার মূহুর্তেই পুলিশ এসে তাদের পাকড়াও করে।এতেই ভেস্তে যায় তাদের পরিকল্পনা!

পুলিশের সফল ও বুদ্ধিদীপ্ত অভিযানে এভাবেই রক্ষা পায় ছোট্ট শিশুটির জীবন। মেয়েকে ফিরে পেয়ে বাবার চোখে আনন্দ-অশ্রু।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close