দেশজুড়ে

প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গণধর্ষণ, বাবাকে হত্যার হুমকি

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মাদারীপুরে বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৬) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ধর্ষিতাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। থানায় মামলা করায় ওই কিশোরীর বাবাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বখাটেরা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের চোকদার ব্রিজ এলাকার ওই বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী গোসলের জন্য পাশের নিম্নকুমার নদে যায়। পথিমধ্যে একই এলাকার করিম চোকদারের ছেলে তন্ময় চোকদার (২২), টুলু চোকদারের ছেলে জিশান চোকদার (১৮) এবং সানু মোল্লার ছেলে হাসান মোল্লা (২১) তাকে জোর করে তুলে পাশের একটি ঝোঁপের মধ্যে নিয়ে যায়। বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী কথা বলতে না পারার সুযোগে তারা কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। এ সময় তার মা মেয়ের গোসল করতে দেরি দেখে নদীর দিকে যান। ঝোঁপের মধ্যে ধস্তাধস্তির শব্দ পেয়ে এগিয়ে গেলে দু’জন পালিয়ে যায় এবং তন্ময়কে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলে সেও পালিয়ে যায়।

সূত্র জানায়, রাতে এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বসে। সালিশদাররা ঘটনাটি মীমাংসাযোগ্য নয় বলে চলে যায়। শুক্রবার সকালে ওই তিন ধর্ষক দা নিয়ে মেয়ের বাবাকে হত্যার হুমকি দিয়ে যায় বলে জানান তিনি। নির্যাতিতার বাবা শুক্রবার দুপুরে স্থানীয়দের সহায়তায় ধর্ষিতাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে দুপুরে তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।

নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘আমার বোবা মেয়েকে গণধর্ষণ করেছে তিন বখাটে। উলঙ্গ অবস্থায় আমার স্ত্রী তাকে উদ্ধার করে। মামলার পর থেকে বখাটেরা আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে শাসিয়ে বেড়াচ্ছে। ওরা বলছে, মামলা করে কী করবি, পুলিশকে টাকা দিয়ে মামলা শেষ করে তোকে দেখে নেবো, কীভাবে এলাকায় থাকিস। আমি এখন বাড়ি থেকে বের হতে পাছি না। ভয় হয় রাতে ওরা আবার আমার বাড়িতে হামলা না করে। আমি ওই বখাটেদের উপযুক্ত বিচার চাই।’

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে আরএমও ডা. শশাংক চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে এক প্রতিবন্ধী কিশোরী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে । আমরা আলামত সংগ্রহ করেছি এবং যথাযথ চিকিৎসা দিয়েছি।’

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন ওই কিশোরীর বাবা। পুলিশ আসামিদের ধরতে মাঠে নেমেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close