দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাচন বাতিল

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদে চেযারম্যান পদে উপ-নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশক্রমে উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান নির্বাচন পরিচালনা কমিটি-২ অধিশাখা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নির্বাচন বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের শূন্য পদে ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্ত শেষে নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন পেশ করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে নির্বাচন পরিচালনায় অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা-২০১৩ এর বিধি-৮৮ অনুসারে উপ-নির্বাচনটি বাতিল করা হয়েছে। নতুন নির্বাচনের তারিখ পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে।

গত ১০ অক্টোবর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ভোটের আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সে ভরে রাখার অভিযোগে ১৫ নম্বর চরভদ্রাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রের নির্বাচন শুরুতেই স্থগিত করা হয়। ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন দুই হাজার পাঁচশত জন।

নির্বাচনের দিনে একটি কেন্দ্রে জালভোট দেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এক সমর্থককে আটকের প্রতিবাদ জানান ফরিদপুর-৪(ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের সাংসদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন। এ সময় তিনি চরভদ্রাসনের ইউএনও জেসমিন সুলতানাকে মুটোফোনে গালাগালি করেন।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাত ৮টার দিকে চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমবেত জনতার উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে সাংসদ আচরণবিধি ভঙ্গ করে ওই নির্বাচনে ১২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানান। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসক অতুল সরকারকে ‘রাজাকার’ আখ্যায়িত করে গালাগালি করেন।

নির্বাচনে অনিয়ম ও সাংসদের আচরণে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মুজিবুর রহমান নিক্সনের বিরুদ্ধে তিন দফা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গত ১৫ অক্টোবর চরভদ্রাসন থানায় মামলা করে নির্বাচন কমিশন।

এ ছাড়া গঠন করা হয় তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। এ কমিটি গত ২১ ও ২২ অক্টোবর ফরিদপুর ও চরভদ্রাসনে সরেজমিনে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের মতামত ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার সাহা। সদস্য সচিব ছিলেন নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. সায়েদুন্নবী চৌধুরী এবং সদস্য ঢাকা নির্বাচন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নূরুজ্জামান তালুকদার।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close