খেলাধুলাপ্রধান শিরোনাম

ফিক্সিংয়ে ‘সেরা’ ভারতীয় জুয়াড়িরা, নাম আসলেও শাস্তি হয় না

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ম্যাচ ফিক্সিং হলেই উঠে আসে ভারতীয় জুয়াড়িদের নাম। নানা সময় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে   ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো স্টিং অপারেশন করে ভারতীয় বুকিদের তথ্য দিলেও আইসিসি ও বিসিসিআই থাকে নীরব। কখনো দেখা যায়নি অধিকতর তদন্ত করে ফিক্সারদের খুঁজে বের করতে। তাই প্রশ্নবিদ্ধ এ সংস্থাগুলোর ভূমিকা।

আল জাজিরার স্টিং অপারেশনে বেরিয়ে আসে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের চাঞ্চল্যকর তথ্য। উঠে আসে রবিন মরিস নামের ভারতীয় বুকির নাম। সে সূত্র ধরে অনেক কিছুই করতে পারতো আইসিসি। হয়তো বেরিয়ে আসতো বহু খেলোয়াড়ের নামও। কিন্তু ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ছিলো কার্যত নীরব। নিজেদের দেশের বুকিদের ধরিয়ে দিয়ে আইসিসিকে সহযোগিতা করেনি বিসিসিআইও।

ভারতীয় বোর্ডের ভূমিকা রীতিমতো রহস্যজনক। ২০১১ বিশ্বকাপে ভারত-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে ভারতীয় ড্রেসিং রুমে দেখা যায় প্রদীপ আগারওয়ালকে। জুয়াড়ী আগারওয়াল কিভাবে খেলোয়াড়দের পাশে বসে থাকেন সেটা নিয়ে তখন তোলপাড় হয়েছিলো।

২০১৩ আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়েল মূল হোতা বিক্রম আগাওয়াল। নাম উঠে আসে তখনকার বিসিসিআই চেয়ারম্যান শ্রীনাবাসন, তার জামাতা মায়াপ্পন ও রাজস্থান রয়্যালসের মালিক রাজকুন্দ্রা। পরে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হন মায়াপ্পান ও কুন্দ্রা। মহেন্দ্র সিং ধোনী ও সুরেশ রায়না সহ ছয়জন ক্রিকেটারের নাম এসেছিলো তখন। তদন্তে বেরিয়ে আসলেও দেয়া হয় ধামাচাঁপা।

ম্যাচ ফিক্সিংয়ে কাণ্ডে সেলিম মালিক থেকে শুরু। প্রভাবশালী আজহারউদ্দিন থেকে হ্যান্সি ক্রনিয়ে। মোহাম্মদ আমির সালমান বাট। লু ভিনসেন্ট- নাসির জামশেদ বা মোহাম্মদ আশরাফুল। সবাইকে বিভ্রান্ত করেন ভারতীয় বুকিরা। আর সবশেষ ঘটনাতো সবারই জানা। আলোচিত নাম দিপক আগারওয়াল। ফাঁদে পড়ে খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়, আর ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যান আগারওয়ালরা।

এখানেই শেষ নয়। ম্যাচের টস পরিবর্তন করে দেয়ার অভিযোগ আছে ভারতীয়দের বিরুদ্ধে। ভুল হয়ে হয়েছে, বলে পার পেয়ে গেছেন রবি শাস্ত্রী-মুরালী কার্তিকরা। অথচ এসব সন্দেহের আওতায় নিয়ে তদন্ত করতে পারতো আইসিসি।

সাকিবের বিরুদ্ধে আনা ৩ নম্বর অভিযোগটি আইপিএলের। যেখানে ভারতীয় বোর্ডকে সাথে নিয়েই কাজ করেছে আইসিসি। শাস্তির ব্যাপারেও একমত ছিলো দু’ই সংস্থা। অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আইসিসি’র আইন কি সবার জন্য সমান? অন্য কোনো পক্ষের এতে হস্তক্ষেপ নেইতো? এই প্রশ্ন উঠেছে অনেকের মনেই।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close