দেশজুড়ে

বরগুনা থানার ওসির কক্ষে ঝুলন্ত মরদেহ; ২ কর্মকর্তা বরখাস্ত

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত।বরগুনার আমতলী থানায় ওসির কক্ষে পাওয়া গেছে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ।নিহতের পরিবারের অভিযোগ, চাঁদা না পাওয়ায় পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। আর পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে।

গত সোমবার রাতে একটি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে শানু হাওলাদারকে আটক করে বরগুনার আমতলী থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তার পরিবার দেখা করতে চাইলেও তা দেয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার(২৬ মার্চ) সকালে থানা থেকে জানানো হয় আত্মহত্যা করেছেন শানু।

পরিবারের অভিযোগ, থানার দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার এবং মনোরঞ্জন মিস্ত্রি শানুর কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে থানা হাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতন করা হয়।

রোগীর স্বজনরা জানান, তিন লক্ষ টাকা চেয়েছে, টাকা না দেয়ায় তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। থানায় আটকে রাখার সময় জানানো হয় যদি টাকা দেয়া হয় তাহলে আসামিকে ছেড়ে দেয়া হবে।

নিহত শানুর শরীরে অসংখ্য মারের দাগ রয়েছে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অপকর্ম করছেন আমতলী থানার ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এলাকাবাসী ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার নামে নানা দুর্নীতি অভিযোগ তুলেছেন। তারা জানান, থানায় এফআইআর করতে আগে ২ হাজার টাকা দিতে হতো। আর এখন এফআইআর করতে ১০ হাজার টাকা প্রয়োজন।

এদিকে, এ ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি করার পাশাপাশি আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত তদন্ত কমকর্তা মনোরঞ্জন মিস্ত্রি ও ডিউটি অফিসার আরিফুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরগুনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মারুফ হোসেন বলেন, ‘তার পরিবার যেন ন্যায় বিচার পান সেজন্য সবরকমের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান পুলিশ সুপার।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close