জীবন-যাপনপ্রধান শিরোনামস্বাস্থ্য

বাড়ছে ক্যানসারে মৃত্যুর হার

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় হৃদ্‌রোগের কারণে। কিন্তু ধনী দেশগুলোতে হৃদরোগের চেয়েও বড় হুমকি হয়ে উঠেছে ক্যানসার। নতুন এক গবেষণা বলছে, ধনী দেশগুলোতে এখন সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে ক্যানসারে ভুগে। শুধু ধনী দেশগুলোতেই নয়, পুরো বিশ্বেই শিগগিরই হৃদরোগের বদলে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যাবে ক্যানসারে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত নতুন এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বখ্যাত চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ‘ল্যানসেট মেডিকেল জার্নাল’-এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। ২১টি দেশ নিয়ে জরিপ চালিয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ২১টি দেশের মধ্যে আছে বাংলাদেশও।

গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রায় ৪০ শতাংশই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আর কোনো রোগে এত রোগী মারা যান না। কিন্তু উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এরই মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা হৃদরোগকে ছাড়িয়ে গেছে। ধনী দেশগুলোতে ক্যানসারে মারা যাওয়ার সংখ্যা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ, এমন তথ্যও উঠে এসেছে গবেষণায়।

গবেষণায় অংশ নিয়েছেন কানাডার লাভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জাইলস দাগেনাইস। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী ক্যানসারে ভুগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মানুষ মারা গেছে। ওই বছরে প্রায় ২৬ শতাংশ মানুষ ক্যানসারে মারা গেছে। যেহেতু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার হার কমছে, ক্যানসার তাই মাত্র কয়েক দশকের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ব্যাধি হয়ে উঠতে পারে।’

২০১৭ সালে আনুমানিক সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ মারা গেছে। গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৭৭ লাখ মানুষ মারা গেছে হৃদরোগে ভুগে। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ধূমপান ইত্যাদি কারণে বিপুলসংখ্যক মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। কিন্তু গবেষকেরা বলছেন, উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তির কারণে ধনী দেশগুলোতে হৃদরোগে ভুগে মারা যাওয়ার মানুষের সংখ্যা কমছে। যে কারণে ক্যানসার এখন বড় হুমকি হয়ে উঠেছে সেসব দেশগুলোর জন্য। তবে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়া ঠিকভাবে না লাগায় এখনো প্রচুর মানুষ হৃদরোগে মারা যাচ্ছে, এমনটিও বলা হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে।

#এমএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close