বিশ্বজুড়ে

বেত্রাঘাতের সাজা বাতিল করে দিচ্ছে সৌদি আরব

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সাজা হিসেবে বেত্রাঘাতের বিধান বাতিল করে দিচ্ছে সৌদি আরব।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের এ সংক্রান্ত আইনি নথিগুলো সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে।সৌদি আরবের সর্বোচ্চ আদালত থেকে জানানো হয়েছে যে, সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই সাজা বিলোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক নির্দেশনায় বেত্রাঘাতের বদলে অপরাধীকে কারাদণ্ড কিংবা জরিমানার সাজা দিতে বলেছে আদালত।

২০১৭ সালে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমান নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে তিনি দেশটিতে বড় ধরনের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছেন।নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পাশাপাশি মাঠে পুরুষের সঙ্গে বসে খেলা দেখা, সিনেমা দেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া, চাকরিতে যোগদান, এমনকি অস্ত্রোপচার করার জন্যও আগে নারীদের পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হতো। সেই নিয়মও বাতিল করা হয়েছে। পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বাল্যবিবাহ ঠেকানোরও।

তবে এত কিছুর পরও দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। বিশেষ করে তুরস্কের সৌদি কনসুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশুগজিকে হত্যার ঘটনা সালমানের ভাবমূর্তিতে কালি লাগিয়ে দিয়েছে।মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, সৌদি আরবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেই জায়গা হয় কারাগারে। এছাড়া অপরাধীদের বেত্রাঘাতের সাজা দেয়ার ঘটনাও নিয়মিতই ঘটে।

২০১৫ সালে সাইবার ক্রাইম ও ইসলাম অবমাননার শাস্তি হিসেবে সৌদি আরব ব্লগার রাইফ বাদাউয়িকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের সাজা দিলে তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে স্থান পায়।বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা এবং বেত্রাঘাতে রাইফের মৃতপ্রায় হয়ে পড়ার খবর জানাজানি হলে ওই সাজা স্থগিত করা হয়।পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভাবমূর্তি ঠিক করতে সৌদি আরব বেত্রাঘাতের সাজা তুলে নেয়ার কথা ভাবলেও ভিন্নমতাবলম্বী এবং নারী অধিকারের জন্য আন্দোলনকারীদের ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও নির্যাতন কমেনি।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close