তথ্যপ্রযুক্তি

বৈঠকে বাংলায় কথা বলতে আপত্তি গ্রামীণফোনের

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে নিজেদের ম্যানেজমেন্ট পর্যায়ের বৈঠকে বাংলায় কথা বলতে আপত্তি দেখিয়েছে গ্রামীণফোন।

এ নিয়ে ‘অসৌজন্য’ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে রোববারের এক বৈঠকে।

বিটিআরসি নিজেদের কার্যালয়ে ওই বৈঠক ডেকেছিল টাওয়ার শেয়ারিং নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা সুরাহায়। সংস্থাটি চাইছিল একটি সমঝোতা হয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর ও টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানির মধ্যে সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট বা এসএলএ হোক।

আর এই বৈঠকের শুরুতেই গ্রামীণফোন ইস্যু তৈরি করে বাংলা ভাষায় কথা বলা নিয়ে।

বৈঠক শুরু হয় বাংলা ভাষায়। বিটিআরসির পক্ষ থেকে বাংলায় কথা বলাতে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলে গ্রামীণফোন।

গ্রামীণফোনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বলেন, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট পর্যায়ের বৈঠকে বাংলায় কথা বলাটা গ্রহণযোগ্য নয়। এর পর বিটিআরসি ইংরেজিতে আলোচনা শুরু করে।

বৈঠকে উপস্থিত অনেকেই বলছেন বিষয়টি তাদের কাছে ভাল লাগেনি। বৈঠকে অংশ নেয়া প্রায় সবাই বাংলা ভাষাভাষী ছিলেন। এমনকি গ্রামীণফোনের একজন প্রতিনিধি ছাড়া অন্যজনও বাংলা ভাষাভাষী।

‘এটি কোনো আন্তর্জাতিক ডেকোরাম বৈঠকও না। একই খাতের একটি আলোচনা, সমস্যা সুরাহার সমঝোতা বৈঠক। এখানে খোলামেলা আলোচনাই ছিল। সেখানে শুরুতেই তারা বৈঠকটিকে অন্যরকম আবহে নিয়ে যায়। ইংরেজিতে আলোচনা তো করাই যায়, কিন্তু অপ্রয়োজন-অযথা কেনো’ বলছিলেন বৈঠকে অংশ নেয়া একটি প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

যদিও শেষ পর্যন্ত এই বৈঠক হতে ওয়াকআউট করে অপারেটরটি।

বৈঠকে গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন অপারেটরটির চিফ টেকনোলজি অফিসার রাদে কোভাসেভিচ ও চিফ প্রকিউরমেন্ট অফিসার আল-আমিন।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের সভাপতিত্বে এই বৈঠক শুরু হয়। কিছুক্ষণ অংশ নিয়ে তিনি আরেকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলে যান।

বৈঠকে মোবাইল ফোন অপারেটরদের পক্ষে থেকে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম এবং বাংলালিংকের চিফ রেগ্যুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান অংশ নেন ।

ছিলেন টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানি ইডটকোর সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের ডিরেক্টর সিরাজুস সালেহীন, সামিট টাওয়ার্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ আল ইসলাম এবং কীর্তনখোলা টাওয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালামন করিমন বৈঠকে অংশ নেন।

এছাড়া বিটিআরসির বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা ছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার রেজাউল কাদের এবং সিস্টেসম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের কমিশনার মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে ছিলেন।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close