কৃষিশিল্প-বানিজ্য

ভালো নেই রামুর রাবার বাগান

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: কক্সবাজারের রামুতে দেশের সর্ববৃহৎ রাবার বাগান। ঐতিহ্যবাহী রাবার বাগানটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মনোরম পরিবেশ যে কারো মনে প্রশান্তি ও আনন্দ দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজারের রামুর জোয়ারিয়ানালা এলাকায় দেশে কাচাঁ রাবারে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের উদ্যাগে ১৯৬০ সালে ৩০ একর জমিতে মালয়েশিয়া থেকে বীজ এনে সরকারীভাবে গড়ে তোলা হয় প্রথম মাতৃ রাবার বাগান। বর্তমানে এর আয়তন ২ হাজার ৬৮২ একর। এ বাগানে রয়েছে ১লাখ ৮০ হাজার ৬১৬ টি গাছ। এরমধ্য উৎপাদনশীল গাছের সংখ্যা ৯৪ হাজার ৫৬৮টি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাগানের গাছগুলোয় ঝুলছে ছোট ছোট প্লাস্টিকের পাত্র। গাছের কাটা অংশ দিয়ে সেই পাত্রে চুইয়ে পড়ছে সাদা ধবধবে কষ, জমা হওয়া কষ সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।

বাগানে মাট তত্ত্বাবদায়ক আবুল হুদা জানান, মূলত সারা বছরই রাবার উৎপাদন হয়। তবে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত চারমাস পর্যন্ত উৎপাদনের ভরা মৌসুম।মৌসুমে প্রতিদিন রাবার বাগান থেকে চারহাজার থেকে সাড়ে চারহাজার কেজি কষ আহরণ করা হয়। শীতে আহরন বেশি হয়। বর্ষায় উৎপাদন কমে আসে। এসব কষ আহরনে নিয়মিত-অনিয়মিত ২২০ জন শ্রমিক নিয়োজিত।

কারখানা তত্ত্বাবদায়ক নুরুল আনোয়ার জানান বাগান থেকে সাদা কষ সংগ্রহের পর সাতদিনের মধ্যে তা প্রক্রিয়াজাত করে শুকনা রাবারে পরিণত করা হয়। এভাবে মৌসুমে প্রতিদিন ৩০-৩৫টন শুকনা রাবার উৎপাদন হচ্ছে।

এছাড়া রাবার আমদানিতে নামমাত্র শুল্ক বসানো এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেশের রাবার শিল্পের বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। উৎপাদন বাড়লেও হুমকির মুখে রামুর রাবার বাগান।

বাগানগুলোর কর্মকর্তারা জানান, উৎপাদিত রাবার দিয়ে জুতা, ফুটবল, টায়ারের টিউব, গাড়ির যন্ত্রাংশ, আঠা, ওষুধ, ব্যাগ ও বেল্ট তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে রাবারের দর প্রভাব ফেলে দেশের বাজারেও। বিগতবছর গুলোতে আন্তর্জাতিক বাজারে রাবারের দাম বেশি ছিল বলে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকায়। বর্তমানে প্রতি কেজি রাবারের দাম ১৫০ টাকার মতো।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close