দেশজুড়ে

মাদার তেরেসা, পল্লীমাতা হতে চেয়েছিলেন তিনি…

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ অপকৌশলের মাধ্যমে ‘মাদার তেরেসা’, ‘পল্লী মাতা’ ও ‘প্রবাসী মাতা’ হিসেবে পরিচিতি পেতে চেয়েছিলেন উচ্চাভিলাষী হেলেনা জাহাঙ্গীর। এছাড়াও অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত সেফুদার সঙ্গে যোগাযোগ ও লেনদেন ছিল তার।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাব সদরদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অপকৌশলের মাধ্যমে নিজেকে ‘মাদার তেরেসা’, ‘পল্লী মাতা’ ও ‘প্রবাসী মাতা’- এ ধরনের খ্যাতি পেতে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন হেলেনা। তার পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র এসব ভুয়া খেতাবের অপপ্রচার চালাত। বিভিন্ন দেশি সংস্থা ও ব্যক্তি থেকে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের নামে অর্থ সংগ্রহ করতেন তিনি। যা মানবিক সহায়তায় ব্যবহারের চেয়ে হেলেনার খেতাব প্রচারে বেশি ব্যবহার করা হতো।

গ্রেফতার হওয়া হেলেনা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে নিজের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন। তার প্রায় ১২টি ক্লাবের সদস্যপদ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত ৮টার পর হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডের বাসভবনে অভিযান শুরু করে র‍্যাব। দীর্ঘ চার ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয় এবং পরে র‍্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে এক ক্ষুদে বার্তায় তাকে গ্রেফতারের তথ্য জানায় র‍্যাব। ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে সন্ধ্যায় তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর আদালত।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close