দেশজুড়ে

মাশরাফি না সাকিব, বিসিবির আগামী নেতৃত্বের প্রশ্নে যা বললেন পাপন

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: সমসাময়িক রাজনীতির নানা ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের পৈতৃক বাসভবন আইভি ভবনে খোলামেলা কথা বলেন বিসিবি সভাপতি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে নৌকার প্রার্থী। এই আসনে তিনি টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য।

এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে নাজমুলের কাছে জানতে চাওয়া হয় বিসিবির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে মাশরাফি ও সাকিব দুজনই আগ্রহ দেখিয়েছেন। কে আসতে পারে?

জবাবে পাপন বলেন, বলা মুশকিল। এটা বলাও কঠিন। এখানে বলা ঠিক হবে না। এটি সময় আসলে বুঝা যাবে।

সাকিবকে নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, নির্বাচনে সাকিবের আলাদা প্লাস পয়েন্ট আছে। একটা দলের ভোট, আরেকটা নিউট্রাল (নিরপেক্ষ) ভোট। নিউট্রাল ভোট সাকিবের জন্য প্লাস পয়েন্ট। আমার ধারণা, যারা সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না, তারা সাকিবকে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন।

নির্বাচনের পরও সাকিবকে খেলার মাঠে পাওয়া যাবে কিনা— এমন প্রশ্নে বিসিবি সভাপতির জবাব, এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তার ২০২৫ সাল পর্যন্ত খেলার কথা।

তিনি আরও বলেন, সাকিব ওখানে (মাগুরা) নামার পর থেকে মানুষ পাগল হয়ে গেছে। আমার ধারণা, প্রায় সবাই তাকে ভোট দেবে।

নিজের রাজনীতিতে আসা ও এবার জয়ের ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান বলেন, আমি জীবনে কোনো দিন চিন্তাও করিনি রাজনীতি করব। মনে করতাম রাজনীতি অনেক সহজ। কিন্তু আসার পর বুঝলাম অনেক কঠিন। এটার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না। আমার বিশ্বাস ভৈরবের মানুষ ভুল সিদ্ধান্ত নেন না। তারা সব সময় বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুকন্যা, আমার আব্বার পাশেই ছিলেন। এখনো থাকবেন।

প্রসঙ্গত, নাজমুল হাসানের বাবা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান। আর তার মা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভি রহমান।

২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার কারণে আসনটি শূন্য হয়ে পড়লে ২০০৯ সালে উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হন নাজমুল হাসান পাপন।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close