দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: পাকিস্তানের করাচির কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে দেশে ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

সেদিন বিকেলে তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ থেকে বঙ্গবন্ধু নামার পর পূর্ণতা পেয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ঐতিহাসিক স্থানে সেই সময়টিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপকারের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হলো।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি এক উৎসবমুখর পরিবেশে লাখো মানুষ বরণ করে নিয়েছিল তাদের প্রিয় নেতাকে। এরপর তাঁকে মিছিল করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। আজ শুক্রবার বিকেলে তেজগাঁও বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী আবহ তৈরি করা হয়। আলেকবর্তিকার মাধ্যমে বিমান থেকে বঙ্গবন্ধুর নামার প্রতীকী চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। দেওয়া হয় গার্ড অব অনার।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তাঁর মেয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষণগণনার অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী বিমান অবতরণ, বিমান থেকে আলোক প্রক্ষেপণ ও তোপধ্বনি, প্রতীকী গার্ড অব অনারের মতো বিষয়গুলো ছিল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচন করেন। প্রধানমন্ত্রী যখন ক্ষণগণনা ও লোগো উন্মোচন করেন তখন তাঁর পাশে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহেনা ও নাতি সজীব ওয়াজেদ জয়। লোগে তুলে দেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও জনপরিসরে ক্ষণগণনা শুরু হয়। দেশের ৫৩ জেলা, ২টি উপজেলা, ১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি পয়েন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর ৮৩টি পয়েন্টে কাউন্টডাউন ঘড়ি বসানো হয়েছে। উল্লেখযোগ্য কিছু এলাকা হচ্ছে, জাতীয় সংসদ ভবন, হাতিরঝিল, মেহেরপুরের মুজিবনগর ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া।

২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় মুজিব বর্ষ উদ্‌যাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সরকার মুজিব বর্ষ উদ্‌যাপন করবে। দেশের ভেতর ছাড়াও বাইরে উদ্‌যাপিত হবে জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিব বর্ষের আনন্দ আয়োজন।

জন্মশতবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠানটি হবে এ বছরের ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে, সেদিন বঙ্গবন্ধুর জন্মগ্রহণের শতবর্ষ পূর্ণ হবে। ওই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ কয়েকজন বিশ্বনেতা উপস্থিত থাকবেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ওই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তি ও কর্মজীবন নিয়ে হলোগ্রাফিক উপস্থাপনা ও থিম সং পরিবেশিত হবে। ১৭ মার্চ মূল অনুষ্ঠানের পর থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতশবাজি।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close