দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

যবিপ্রবিতে গৃহকর্মী নির্যাতন, ৩০হাজার টাকায় ধামাচাপার চেষ্টা

সজীবুর রহমান, যবিপ্রবি প্রতিবেদকঃ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষিকার স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় উপাচার্যের বাসভবনের পাশে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের  ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক শাহানাজ আক্তারের স্বামী মাজহারুল ইসলাম পূবালী ব্যাংক যশোর শাখার কর্মকর্তা। তাদের গৃহকর্মী সখিনা খাতুনের ওপর আজ সকালে চড়াও হয়ে শারিরিক  নির্যাতন চালান এই দম্পতি এতে গুরুতর আহত হন গৃহকর্মী সখিনা খাতুন। পরবর্তীতে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা দীপক কুমার মন্ডল সখিনার আঘাত পর্যবেক্ষণ করে জানান, তাকে খুবই খারাপ ভাবে আঘাত করা হয়েছে। লাঠির আঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট বেধেছে এবং টিস্যু খুবই খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

আহত সখিনা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন অভিযুক্ত মাজহারুল ইসলাম প্রায় আমাকে বকা ও গালিগালাজ করতেন । এক পর্যায়ে আমি কাজ ছেড়ে দিব বলে সিদ্ধান্ত নিই।  যার প্রেক্ষিতে আমাকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করে আমাকে জখম করা হয়। তবে সখিনা শিক্ষিকা শাহানাজ আক্তারকে এ বিষয়ের জন্য কোনরুপ দায় দেন নি।

এই বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন গৃহকর্মী নির্যাতনের যে ঘটনাটি ঘটেছে এর জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, অন্যায়ের কাছে কখনও মাথা নত করি নি আর করবোও না। ৭২ ঘন্টার ভিতর তাদেরকে ডরমিটরি ত্যাগ করতে বলা হয়েছে আর যদি বাদী পক্ষ কোনো মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

সখিনার পিতা আবুল হোসেনের সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মারধরের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর পিতা ও অবিভাবকদের নিয়ে শিক্ষক ডরমিটরিতে প্রথমে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মিমাংসার পায়তারা চালান। প্রস্তাবে রাজি না হলে পরবর্তীতে টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে ৩০ হাজার পর্যন্ত করা হয়।  

নির্যাতনের শিকার সখিনা খাতুন যশোর জেলার চৌগাছা থানার ফুলসারা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। দুই সন্তানের জননী সখিনার স্বামী মৃত মাহামুদুল হাসান মারা যাবার পর সাংসারিক অস্বচ্ছলতার কারনে প্রায় দুই বছর ধরে তিনি ওই শিক্ষকের বাসায় কাজ করতেন। 

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close