দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

শিবালয়ে বেদে পল্লীতে জ্বলে না চুলা, খাবার নিয়ে ছুটে গেলেন ইউএনও

নিজস্ব প্রতিবেদক,মানিকগঞ্জঃ সাপ খেলা এখন আর দেখায় না। জীবিকার তাগিদে পেশা বদলে এখন নারীদের প্রসাধনী নিয়ে গ্রামে গ্রামে ছুটে চলেন মানিকগঞ্জ শিবালয়ের বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন।

পেশা বদল হলেও ভাগ্যের নিয়তি আগের মতই। প্রতিদিনের উপার্জন দিয়ে চলে দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা । কিন্তু প্রাণঘাতির করোনায় সেই হতভাগা ঘরেও হানা দিয়েছে। কাজ নেই, বেচা কেনা নেই। তাই গত দুই দিন ধরে জ্বলছে চুলা। তার উপর ভাইরাস থেকে রেহায় পেতে সংক্রমণ রোধে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে রয়েছে নিষেধজ্ঞা।

এমন করুন দশা নিয়ে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথুলী এলাকায় ইছামতী নদীর পারের বেদে সম্প্রদয়ের লোকেরা মানবেতর জীবন যাপন করছে।

তবে ভাগ্য সহায় হয়ে দেবতার আর্শিবাদ ভাঙ্গা ঘরে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে। আজ শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) বিকেলে এমন সংবাদ পেয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএফএম ফিরোজ মাহমুদ খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কাছে ছুটে যান তাদের কাছে।

এসময় তিনি বেদে পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, আলু, লবনসহ একটি করে প্যাকেট তুলে। এতে মর্হুতের মধ্যে হাসি ফোটে বেদে পরিবার গুলোর মাঝে। ইউএনওর এমন মানবিক কাজের জন্য স্থানীয়দের কাছে প্রশংসায় ভাসছেন।

শিবালয়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরোজ মাহমুদ জানান, উপজেলার বেদে সম্প্রদায়ে পরিবার গুলোতে গত দুই দিন ধরে খাবারের অভাবে চুলা জ্বলছে না এমন সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তাদের কাছে হাজির হই। এসময় তাদের প্রতিটি পরিবারের মাঝে আমি নিজে এ খাদ্য সামগ্রী তুলে দেই।  এছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে শুরুতেই কঠোর অবস্থানে রয়েছে শিবালয় উপজেলা প্রশাসন। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য ইতিমধ্যে লোকজনদেরকে ঘরে থাকার জন্য  বোঝানো হচ্ছে।  রাত-দিন উপজেলার প্রতিটি গুরত্বপুর্ণ জায়গায়  টহল  দেওয়া হচ্ছে যাতে কেউ বাহিরে না আসে। এসময় যারা দিনমজুর কর্মহীন হয়ে পরেছেন, তাদের খাদ্য  বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কারো  হতাশ হবার কিছু নেই । আমাদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close