আশুলিয়াস্থানীয় সংবাদ

আশুলিয়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে  মাইক্রোবাস ছিনতাই

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আশুলিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে একটি হাইচ মাইক্রোবাস ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসময় মাইক্রোবাসের চালককে মারধর করে হাত পা বেধে নির্জন স্থানে ফেলে যায় ছিনতাইকারীরা।

শনিবার গত (১১ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে আব্দুল্লাহপুর- আশুলিয়া মহাসড়কের ধউর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪জনকে আসামী করে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী গাড়ির চালক মেহেদী হাসান পুলক (৩৪)। সে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার কাচারীপাড়া এলাকার আবু বক্করের ছেলে।

ভুক্তভোগী গাড়ির চালক পুলক জানান, প্রতিদিনের মতো গত ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদীর নতুনহাট গ্রীনসিটি থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত বিদেশি নাগরিককে নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। পরে ঐ বিদেশি নাগরিককে ১১ ডিসেম্বর রাত ৩ টার দিকে ঢাকা বিমানবন্দরের নামিয়ে ফেরার পথে ভোর ৪ টার দিকে আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া মহাসড়কের আশুলিয়া বেরিবাধের ধউড় এলাকায় পৌঁছালে মহাসড়কের পাশে থাকা ট্রাফিক পুলিশের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি গাড়ি থামানোর জন্য সিগনাল দেয়। কিন্তু চালকের সন্দেহ হলে গাড়ি না থামিয়ে সামনের দিকে যেতে থাকে।

এসময় পিছন থেকে একটি হাইচ কার মাইক্রোবাসের সামনে এসে গতিরোধ করে। গাড়ি থেকে দুইজন ডিবি পুলিশের পোশাক পরিহিত এবং একজন মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যাক্তি এসে তার কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চায়। কাগজপত্র বের করে দিলে একজন সে কাগজপত্র দেখতে থাকে এবং সাথে থাকা অন্যরা তল্লাশি করার কথা বলে তাকে জোর করে তাদের গাড়িতে তুলে নেয়। পরে তার চোখ ও হাত-পা বেঁধে মারধর করে তার সাথে থাকা মোবাইল ফোনসহ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে সড়কের পাশে নির্জন স্থানে তাকে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরিবর্তীতে স্থানীয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার পেয়ে এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিজে বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। গাড়ির চেসিস নং-(TRH200-5028998)

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ জানান, বিষয়টি গুরত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ছিনতাইকৃত গাড়িটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে, পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা খুঁজে বের করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close