আশুলিয়াধামরাইসাভারস্থানীয় সংবাদ

সাভার-আশুলিয়া-ধামরাইয়ে মসজিদ ও গরুর হাটে পুলিশের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের মসজিদ ভিত্তিক প্রচারণার অংশ হিসেবে সাভার মডেল থানা, আশুলিয়া থানা ও ধামরাই থানা পুলিশের উদ্যোগে বিভিন্ন মসজিদ ও গরুর হাটে করোনা প্রতিরোধে বিশেষ প্রচারণার চালানো হয়েছে আয়োজন করা হয়। শুক্রবার জুম্মার নামাজের খুতবার আগে বিশেষ বয়ান করেন সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন।

সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে ঈদ উদযাপন ও পশুর হাটে যাতায়াতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বয়ানে আলোচনা করেন তারা।

মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে পুলিশের যে নির্দেশনা ছিল তা হল:

*করোনার সংক্রমন ও করোনা ভাইরাসে মৃত্যু গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে বিধায় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া আপনারা ঘরের বাহিরে বের হবেন না।

*হাট-বাজার বা চায়ের দোকানে আড্ডা-গল্প করবেন না।

*জরুরী প্রয়োজন আপনারা ঘরের বাহিরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পড়ুন।

* সকলেই বাসায় ঘন ঘন হাত ধোয়া ও হ্যাণ্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার করুন।

* সকলেই হ্যাণ্ডশেক ও একে অপরের কাছাকাছি আসা হতে বিরত থাকুন।

*সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন ও ভীড় এড়িয়ে চলুন।

*সরকারী বিধি-নিষেধ না মেনে চললে গ্রেপ্তার ও জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে।

*জ্বর, সর্দি ও কাশি হলে অবহেলা না করে নিকটস্থ হাসপাতালে করোনা টেস্ট করুন।

*আপনারা যার যার সাধ্যমত পুষ্টিকর খাবার,যেমন: ফল-মূল, শাকসবজি, ও লেবু জাতীয় খাবার বেশী করে খান।

*করোনা মহামারিতে অসহায়, নিঃস্ব, দরিদ্র ও কর্মহীন লোকদের পাশে দাঁড়ান। সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন।

*স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে চলুন, নিজে সুস্থ থাকুন ও অপরকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করুন।

এসব নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি নামাজের আগে ও পরে মাস্ক বিতরণ করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।

এছাড়া ধর্ম মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে সাভার মডেল মসজিদের ইমাম নির্দেশনা দেন যে, আপনারা ঈদের মাঠে কোলাকুলি করবেন না। কোরবানির গরুর হাটে যারা যাবেন তারা ভীড় এড়িয়ে চলবেন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে গমন করবেন।

এছাড়া বিকেলে গরুর হাটগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধির বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়। পরে সাভার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড বেদেপল্লীতে প্রচারণা চালানো হয়।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা এস এম কামরুজ্জমান ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম জানান, আমাদের থানাধীন ২১ টি বিটে বিট অফিসারগণ বিভিন্ন মসজিদে প্রচারণা চালিয়েছেন। আমরা নিজেরাও মসজিদে উপস্থিত থেকে মুসল্লীদের নির্দেশনা প্রদান করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মানতে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আশুলিয়ার গরুর হাটগুলোতে নিয়মিত মাইকিং করা হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষ্যে কড়াকড়ি যে নির্দেশনা আছে তা হচ্ছে, আপনারা কোলাকুলি করবেন না।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাঈনুল ইসলাম বলেন, পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় আমরা করোনার সচেতনতায় জোরদার প্রচারণা চালাচ্ছি। লকডাউন কিছুটা শিথিল হলেও স্বাস্থ্যবিধি ভুলে গেলে চলবেনা। সাধারণ মানুষকে আমরা এই ম্যাসেজটাই দিতে চাচ্ছি। যাদের জীবনযাত্রার মান তুলনামূলক খারাপ, যারা অস্বচ্ছল ভাবে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা বেশিরভাগই করোনা নিয়ে উদাসীন। আমি তাদের কাছেই সরকারি বার্তা পৌছানোর চেষ্টা করছি।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, আমি নিজেই ধামরাই এর বরাতনগর জামে মসজিদে খুতবার আগে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে করোনার সচেতনায় প্রচারণা চালিয়েছি। ধামরাই এর অন্যান্য কিছু মসজিদেও আমাদের থানার অন্য পুলিশ সদস্যরা ছিলেন। এছাড়া ধামরাই এর সকল গরুর হাটে আমাদের মোবাইল টিম রয়েছে। তারা একাধারে মাইকিং সহ বিভিন্ন ভাবে জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close