বিশ্বজুড়ে

স্বামী তালাক দেয়ার পরে গৃহবধূকে ধর্ষণ করলো শ্বশুর

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ভারতের রাজস্থানের আলওয়ার জেলার চোপানাকি নামক অঞ্চলে তিন তালাক দেওয়ার পর এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। মাথায় বন্দুক ধরে শ্বশুরবাড়ির লোকজনরাই ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শ্বশুর। ঘটনায় স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে বিয়ে হয় ওই নারীর। এরপর একটি কন্যা সন্তানেরও জন্ম দেন। এরপর থেকেই নানাভাবে ওই নারীর ওপর অত্যাচার শুরু হয়। কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে মহিলার ওপর অত্যাচারের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। কিন্তু অত্যাচারের পরিমাণ বাড়তে থাকলে একদিন এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন ওই তরুণী। এরপর গত নভেম্বর থেকে ওই নারীকে একটি ঘরে বন্দি করে রাখে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। আটকে রেখেই তার ওপর অত্যাচার চলত বলে অভিযোগ।

নভেম্বর মাসের এক দিন ওই নারীর স্বামী মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরে তাকে তিন তালাক দেয়। এরপরই তার শ্বশুর ও অন্য এক আত্মীয় ঘরে ঢোকে। পরে শিশুকন্যাটিকে লাথি মেরে ঘরের বাইরে বের করে দিয়ে গান পয়েন্টে তরুণীকে গণধর্ষণ করে তারা। যদিও পরে কোনোভাবে লুকিয়ে পালিয়ে বাঁচেন ওই তরুণী।

ওই ঘটনার চারদিন পরে পুলিশে ফোন করেন ওই তরুণী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এই ঘটনার পরেই একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তরুণীর স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে। তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close