দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

হিযবুত তাহরীরের জঙ্গিরা ধরা পড়ে যেভাবে

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর উলাই’য়াহ বাংলাদেশ এর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধানসহ ১৫ জন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- হিযবুত তাহরীরের আঞ্চলিক প্রধান আবুল মোহাম্মদ এরশাদুল আলম (৩৯), আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ (৩০), মো. ইমতিয়াজ ইসমাইল (২৫), মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী (২২), মোহাম্মদ নাজমুল হুদা (২৭), মো. লোকমান গনি (২৯), মো. করিম (২৭), আব্দুল্লাহ আল মুনিম (২২), কামরুল হাসান প্রকাশ রানা (২০), মো. আরিফুল ইসলাম (২০), মো. আজিম উদ্দিন (৩১), ফারহান বিন ফরিদ প্রকাশ রাফি (২৩), মো. আজিমুল হুদা (২৪), ওয়ালিদ ইবনে নাজিম (১৫) ও মো. সম্রাট (২২)।

এদের মধ্যে হিযবুত তাহরীরের আঞ্চলিক প্রধান আবুল মোহাম্মদ এরশাদুল আলম চট্টগ্রামের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও কলেজের শিক্ষক বলে জানিয়েছে পুলিশ। আবুল মোহাম্মদ এরশাদুল আলম বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের গুনাগরী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি বায়েজিদ চক্রেসো কানন আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন।

আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ সাতকানিয়া উপজেলার চর খাগরিয়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি নোভারটিস ফার্মাসিউটিক্যালস এর চট্টগ্রাম টেরিটোরি ম্যানেজার। মো. ইমতিয়াজ ইসমাইল ফেনী জেলার ফুলগাজী জয়পুর এলাকার মো. ইসমাইলের ছেলে। মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী কক্সবাজার জেলার পৌরসভা পানবাজার এলাকার মো. ইসমাইল চৌধুরীর ছেলে। তিনি ফাহিম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস এর সাবেক মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ। মোহাম্মদ নাজমুল হুদা আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোরা ইউনিয়নের সাত্তারহাট এলাকার মো. নুরুল হুদার ছেলে ও তার ছোট ভাই মো. আজিমুল হুদা। মো. লোকমান গনি আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের গুনদ্বীপ এলাকার ফিরোজ আহমদের ছেলে। মো. করিম সাতকানিয়া উপজেলার বারদোনা এলাকার মো. মোবারকের ছেলে। আব্দুল্লাহ আল মুনিম কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম কাশিনগর এলাকার মো. শামসুদ্দিনের ছেলে। কামরুল হাসান প্রকাশ রানা নোয়াখালী জেলার সুধারাম শালেপুর এলাকার মো. আবুল কাশেমের ছেলে। মো. আরিফুল ইসলাম পটিয়া উপজেলার ছনহরা এলাকার মো. এজাজুল হকের ছেলে। মো. আজিম উদ্দিন ফেনী জেলার সদর দৌলতপুর এলাকার আবুল কালামের ছেলে। ফারহান বিন ফরিদ প্রকাশ রাফি বোয়ালখালী উপজেলার সৈয়দনগর এলাকার ফরিদ আহমদের ছেলে। ওয়ালিদ ইবনে নাজিম ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর এলাকার এমএন নাজিমের ছেলে ও মো. সম্রাট চাঁদপুর জেলার মতলব এলাকার মো. শাহ আলমের ছেলে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, কয়েকদিন ধরে হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা আসকারদীঘি ও আশপাশের এলাকায় পোস্টার ও লিফলেট বিলি করছিলেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। এসব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তাদের শনাক্তের চেষ্টা করা হয় এবং বিভিন্ন এলাকায় নজরাদারি বাড়ানো হয়। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে আন্দরকিল্লা জামে মসজিদের সামনে লিফলেট বিলি করার সময় হিযবুত তাহরীরের সদস্য ওয়ালিদ ইবনে নাজিম ও মো. ইমতিয়াজ ইসমাইলকে আটক করা হয়।

ইবনে নাজিম ও ইমতিয়াজ ইসমাইলকে জিজ্ঞাসাবাদে অন্য সদস্যদের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নগরের নতুন চান্দগাঁও আবাসিক, বায়েজিদে অভিযান চালিয়ে অন্যদের আটক করা হয়।’ বলেন শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আবুল মোহাম্মদ এরশাদুল আলম হিযবুত তাহরীরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান। তিনি চট্টগ্রামের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও কলেজের শিক্ষক। এরশাদুল আলম বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের গুনাগরী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি বায়েজিদ চক্রেসো কানন আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন।

তাদের কাছ থেকে সংগঠনের ২ লাখ ৮২ হাজার টাকা, হিযবুত তাহরীরের তথ্যসহ দুইটি ল্যাপটপ ও ডিভাইস, একটি মোটর সাইকেল, হিযবুত তাহরীরের প্রচারপত্র, গঠনতন্ত্র, ট্রেনিং ম্যানুয়েল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ।

হিযবুত তাহরীরের আরও দুই সদস্য আফজাল হোসেন আতিক প্রকাশ আকাশ (৩৫) ও তাহমিদ সুফিয়ান (৩৫) পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। আফজাল হোসেন আতিক প্রকাশ আকাশ একটি স্কুলের খণ্ডকালীন শিক্ষক ও তাহমিদ সুফিয়ান একটি ডিজিটাল স্কুলের পরিচালক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আটক জঙ্গিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close