দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

হোলি আর্টিজানে হামলার রায়: সারা দেশে র‌্যাবের নিরাপত্তা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার রায় উপলক্ষে সারা দেশে নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। আগামী কয়েক দিন র‍্যাব সতর্ক অবস্থায় থাকবে বলে জানান তিনি।

গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার রায় উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাব সদর দপ্তরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বক্তব্য দেন। কাল বুধবার ওই রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে।

র‍্যাব প্রধান বলেন, বৈশ্বিক জঙ্গিবাদ পরাস্ত না হওয়া পর্যন্ত দেশে-বিদেশে জঙ্গিবাদের ঝুঁকি থেকেই যাবে। তবে বাংলাদেশে কখনোই পরিপূর্ণ জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। দেশের মানুষ জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না। তারপরও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ক্রমাগতভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে যেতে হবে।

ব্রিফিংয়ে বেনজীর বলেন, হোলি আর্টিজানে হামলার পর অনেক বড় দেশ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। তারা বাংলাদেশ দেশ থেকে বিনিয়োগ ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল। তখন বাংলাদেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দর বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই অবস্থার উন্নতি ঘটেছে। যখনই জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে, তখনই তাদের নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা বাড়াতে হবে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা-মসজিদে কাজ করতে হবে। ইসলাম খুনোখুনি পছন্দ করে না, তা মসিজদের ইমামদের প্রচার করতে হবে। প্রত্যেক ব্যাটালিয়নে জঙ্গিবিরোধী সেল খোলা হয়েছে।

র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর র‍্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে ২৫ জঙ্গি নিহত হন। তখন থেকে র‍্যাব ৮০৯ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে। র‌্যাবের বহুমুখী তৎপরতার কারণে এর আগে আট জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছেন। বিশ্বের ইতিহাসে এরপর দ্বিতীয়বারের মতো গত সোমবার আফগানিস্তানে জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ করেন। র‍্যাব পৃথিবীকে পথ দেখিয়েছে, জঙ্গিরাও আত্মসমর্পণ করেন। জঙ্গিরা এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের কাছে মার খাচ্ছেন, পরাস্ত হচ্ছেন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কের পাশে অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালান। তাঁরা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করেন। ওই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা রবিউল করিম ও সালাউদ্দিন খান নিহত হন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৩১ সদস্য ও র‌্যাব-১ এর তৎকালীন পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদসহ ৪১ জন আহত হন। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হন। পরে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের লাশ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন রেস্তোরাঁকর্মী। অভিযানের আগে ও পরে ৩২ জনকে উদ্ধার করা হয়।

#এমএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close