দেশজুড়ে

‘২০ বছরের মধ্যে রেল নেটওয়ার্কে আসছে সকল জেলা’

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রেলকে দেশের জনসাধারণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে এবং দেশের প্রতিটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার। ২০ বছর মেয়াদি এ মহাপরিকল্পনার চারটি পর্যায়ে প্রায় ২৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এতে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এ সময়ের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।

যুগান্তকারী এই পদক্ষেপ কার্যকর হলেই সারা দেশেই ট্রেনে যাতায়াত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের এডিপি প্রকল্পের আওতায় ৪৩টি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ এখন শেষের পথে। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, রেলওয়েতে আরো ৬০০টি ইঞ্জিন, ৬ হাজার যাত্রীবাহী কোচ ও ৭ হাজার মালবাহী ওয়াগন কেনা হবে। এ ছাড়া দূরত্ব অনুযায়ী, ইলেকট্রিক ট্রেন ও বুলেট ট্রেনসহ দ্রুতগামী ট্রেন চালু করা হবে। ইতোমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেন সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে।

মহাপরিকল্পনার আওতায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা এবং যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। তারাকান্দী-বঙ্গবন্ধু সেতু (পূর্ব) ৩৫ কিলোমিটার ও পাবনা-মাঝগ্রাম ২৫ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ প্রকল্পের আওতায় ১২৯ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণকাজ চলছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৬৫টি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিকেট কাটা এবং ফিরতি টিকেট নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এবং কুমিল্লার লাকসাম হয়ে চট্টগ্রামে রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের ব্যয় ৩১ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রতি অর্থবছরে রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৪টি ধাপে এই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমারা কাজ করে যাচ্ছি। পরে এ পরিকল্পনার সঙ্গে আরো বেশ কিছু প্রকল্পজুড়ে এটির মেয়াদ বাড়িয়ে ২০৪৫ সাল করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close