স্বাস্থ্য

এবার মানবদেহে ভ্যাকসিন পরীক্ষা করলো জার্মান

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ঠেকাতে ভ্যাকসিন তৈরিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা উঠেপড়ে লেগেছেন। তবে এখনো এখনো সফলতার মুখ দেখেননি কেউ।  চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। এরই মধ্যে দেশগুলো মানব ট্রায়াল শুরু করেছে। এবার সেই দৌঁড়ে সামিল জার্মানি। দেশটির বায়োটেক সংস্থা বায়োএনটেক কর্তৃক উদ্ভাবিত কভিড-১৯ এর সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানব শরীরে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

বায়োএনটেক একটি বিবৃতিতে জানায়, পরবর্তী পদক্ষেপে তারা ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী প্রায় ২০০ স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে বিএনটি ১৬২ ডোজ প্রয়োগ করবেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিনটি কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত কয়েকজনের ওপর প্রয়োগ করা হবে। এছাড়া সংস্থাটি খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রে ট্রায়াল শুরু করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের প্রত্যাশায় রয়েছে।

একটি নিরাপদ, কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির জন্য এক বছরেরও বেশি সময় লাগে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতেতে গবেষকদের হাতে এতো সময় নেই। এজন্য গবেষকরা বিদ্যমান ওষুধগুলি এবং ড্রাগ চিকিৎসাগুলো পুনর্নির্মাণের জন্য কাজ করছেন। পাশাপাশি এরইমধ্যে আশাব্যঞ্জক ভ্যাকসিনগুলোর পরীক্ষামূলক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করছেন।

জার্মানির তৈরি নতুন এই ভ্যাকসিনটি কার্যকর প্রমাণিত হলে এটি কভিড-১৯ রোগীদের জীবন বাঁচাতে পারবে। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমবে, অ্যান্টিবডি পরীক্ষা,যোগাযোগ-ট্রেসিং প্রযুক্তি, রোগের নজরদারি এবং অন্যান্য প্রাথমিক সতর্কতা সরঞ্জামগুলো আর ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না। বিশ্বব্যাপী মহামারিটির প্রত্যাশিত পরবর্তী ‘তরঙ্গ’ আসার আগেই এই ভ্যাকসিনটি বাজারে চলে আসলে বিশ্ববাসীর জন্য সেটা হবে আশির্বাদ।

বিশ্বজুড়ে বায়োটেক এবং গবেষণা দলগুলো দ্বারা এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০টি সম্ভাব্য কভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিকাশাধীন এবং এর মধ্যে কমপক্ষে পাঁচটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এর আগে মানবদেহে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। বৃহস্পতিবার( ২৩ এপ্রিল) প্রথমবারের মতো দুজনের দেহে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close