দেশজুড়ে

ধর্ষণের পর ছাত্রীকে তাবিজ-পানিপড়া দিলেন মাদ্রাসা সুপার!

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ যাত্রীবাহী বাস থেকে পলাতক মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াস হোসেন জোমাদ্দারকে গ্রেফতার করে পিবিআই। বাগেরহাটের শরণখোলায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় ওই মাদ্রাসার সুপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাগেরহাট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক।

গ্রেফতার ইলিয়াস হোসেন জোমাদ্দার (৪৮) জেলার শরণখোলা উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের আব্দুল গফফারের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী মাদ্রাসা সুপারের কাছে কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করতো। গত ৮ আগস্ট সকালে কোরআন শিক্ষা শেষে সুপার ইলিয়াস হোসেন মেয়েটিকে ডেকে লাইব্রেরিতে নিয়ে যান। সেখানে দরজা-জানালা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

পরে ওইদিনই বিকেল বেলায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাসায় যান। সেখানে গেলে ওই ছাত্রীর বাবা-মা মেয়ের অসুস্থতার কথা জানালে মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াস হোসেন বলেন, মাদ্রাসা থেকে আসার পথে খারাপ বাতাস লাগায় তাদের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে তিনি ওই ছাত্রীকে তাবিজ ও পানি পড়াও দেন।

কিন্তু তাবিজ ও পানিপড়ায় কাজ না হওয়ায় মাকে সব খুলে বলে ভুক্তভোগী ওই মাদ্রাসাছাত্রী। এদিকে ওই ছাত্রীর পরিবার ধর্ষণের ব্যাপারে জেনে যাওয়ার পর থেকেই তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেন মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াস হোসেন।

এক পর্যায়ে ঘটনার ১১ দিন পর ১৯ আগস্ট ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ইলিয়াস হোসেন জোমাদ্দারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলার দায়ের হওয়ার পর পালিয়ে যান মাদ্রাসা সুপার। গত দুই মাস তিনি পলাতক ছিলেন।

বাগেরহাট পিবিআইয়ের এএসপি মোজাম্মেল হক বলেন, “গত ১৪ সেপ্টেম্বর মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াস হোসেনকে গ্রেফতারে একাধিক অভিযান চালায় পিবিআই। বৃহস্পতিবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাটাখালী এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে ইলিয়াসকে গ্রেফতার করা হয়।”

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close