দেশজুড়ে

ভিডিওকল করে শিশুর ইচ্ছে পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু মামিজা রহমান রায়ার জীবনে সম্ভবত বৃহস্পতিবারের (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলটাই সব থেকে শ্রেষ্ঠ। কারণ এদিন তার সব থেকে বড় ইচ্ছেটি পূরণ হয়েছে। এক ভিডিও বার্তায় রায়া বলেছিল, তার ইচ্ছে প্রধানমন্ত্রী তাকে ভিডিও কল করবেন। আর এ জন্য প্রতিদিন অপেক্ষায়ও থাকে সে। কিন্তু ভিডিও প্রকাশের এক দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী নিজে ভিডিওকল করেছেন রায়াকে। তার সঙ্গে গল্প করেছেন। শুনেছেন রায়ার কবিতা আবৃত্তি। বেশ কিছু সময় ধরে গল্পও শুনেছেন রায়ার থেকে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন রায়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কলের সে ছবি ভাইরাল। এ ব্যাপারে  রায়ার মা নাবিহা রহমান পিংকী বলেন, এটা তার মেয়ে রায়া ও তার জন্য ছিল অবিশ্বাস্য।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রায়ার মা নাবিহা রহমান পিংকীর মোবাইল ফোনে ভিডিও কল করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন একটি শিশুর ইচ্ছে পূরণে একজন সরকারপ্রধানের এমন ভূমিকায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নাবিহা রহমান।

তিনি জানান, হঠাৎ পাওয়া এ কলে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক আচরণে তার মনেই হয়নি তিনি সরকারপ্রধানের সঙ্গে কথা বলছেন। ‘মনে হচ্ছিল আমার মা কিংবা ফুপির সঙ্গে কথা বলছি’, অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন নাবিহা রহমান।

তিনি জানান, রায়া ভিডিও কলে প্রধানামন্ত্রীকে জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গেয়ে শুনিয়েছে। রায়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মিলিয়েছেন।

এছাড়া রায়া প্রধানমন্ত্রীকে একটি কবিতা আবৃত্তি করে শুনিয়েছেন বলেও জানান নাবিহা রহমান।

একদিন আগে রায়ার স্কুল শিক্ষক হাসিনা হাফিজ রায়া প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে কথা বলতে চান এমন বার্তা সম্বলিত একটি ভিডিও পোস্ট করেন অটিজম ম্যানেজমেন্ট সেন্টার নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে। সেখানে রায়া বলেন, সে প্রধানমন্ত্রীকে খুব ভালোবাসে ও তাঁর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর হাসি তার সব থেকে প্রিয় এ কথাও জানায় রায়া। ভিডিওতে শিক্ষিকা হাসিনা হাফিজকে বলতে দেখা যায়, তিনি প্রতিদিন সকালে রায়াকে প্রধানমন্ত্রীর একটি করে ছবি ইনবক্স করেন। প্রধানমন্ত্রী তার দাপ্তরিক ব্যস্ততার কোনো এক ফাঁকে রায়ার ইচ্ছে পূরণ করবেন বলেও শিক্ষক হিসেবে আবেদন করেন তিনি।

এই ভিডিও প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌঁছানোর পর একদিনের মাথায় রায়াকে ভিডিও কলে ফোন দিয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এ শিশুর ইচ্ছে পূরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

মায়ের কাছে বড় হওয়া রায়া পরিবারের তত্ত্বাবধানে গৃহশিক্ষকের কাছে শিক্ষা নিচ্ছেন। সংগ্রামমুখর জীবনে সম্মানের সঙ্গে সুস্থতা নিয়ে বাঁচবে রায়া, এটুকুই চাওয়া তার মায়ের।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close