আমদানি-রপ্তানীশিল্প-বানিজ্য

লক্ষ্যমাত্রার এক তৃতীয়াংশও অর্জিত হয়নি সোনামসজিদ বন্দরে

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার এক তৃতীয়াংশও অর্জিত হয়নি।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪৫০ কোটি ৫৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা। আর ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩৮ কোটি ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এর বিপরীতে প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে মাত্র৭৩ কোটি ৩২ লাখ ২৩ হাজার টাকা। লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে আয় ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা রাজস্ব আয় কম হয়েছে প্রথম ছয় মাসে।

রাজস্ব আয় কম হওয়ার কারণে জানতে চাইলে সোনামসজিদ কাস্টমস, আমদানি রফতানিকারক গ্রুপ সিএন্ডএফ এজেন্ট, শ্রমিক সমন্বয় ও পানামার নেতারা জানান, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমে যাচ্ছে।

যে কারণে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাকভর্তি পণ্য আসত। বর্তমানে আসছে মাত্র ১২০/১৩০ ট্রাক পণ্য। এ কারণে স্থলবন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না।

এছাড়া ২৮ অক্টোবর থেকে পেঁয়াজ আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে বলে কাস্টমস দফতর সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়া সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সোনামসজিদে পণ্যে শতভাগ রাজস্ব আদায় করার কারণে কিছু কিছু ফল আমদানিকারক অন্যবন্দর দিয়ে সুযোগ সুবিধা পাওয়ায় ওইসব বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করছে।

সব স্থলবন্দরগুলিতে সরকারের একই নিয়মে রাজস্ব আদায় করা হলে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে সব চেয়ে বেশি পণ্য আমদানি হবে এবং রাজস্ব আয়ও লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অনেক গুণ বেশি হবে বলে সোনামসজিদ সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ জানান।

তিনি আরও জানান, অন্যান্য বন্দরে সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা ওইসব বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করছে। এ কারণে রাজস্ব আদায় কম হয়েছে।

/এনএ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close