দেশজুড়ে

ল্যাবএইডে আলট্রাসনোগ্রামের সময় শিশু রোগীকে মারধর

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দিনাজপুরে ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রামের সময় এক শিশু রোগীকে চড়-থাপ্পড়সহ মুখ চেপে ধরার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আলট্রাসনোগ্রাম রুমে সনোলজিস্ট আফসার আল মাহমুদ এমন কাণ্ড ঘটান। এ ঘটনা জানাজানি হলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিশুটির স্বজনদের দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেন।

ভুক্তভোগী ওই শিশুটির নাম আহসান মুশফিক (১৫ মাস)। সে চিরিরবন্দর উপজেলার ১০ নং পুনট্রি ইউনিয়নের পুনট্রি গ্রামের আক্কাস আলী সরকারের ছেলে।

জানা যায়, ফুসফুসে পানি জমে যাওয়াসহ বিভিন্ন রোগ আক্রান্ত শিশুটিকে মঙ্গলবার বিকেলে উপশহররের দিনাজপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বরহান উদ্দিনেকে দেখানো হয়। তিনি শিশুটিকে দেখার পর আলট্রাসনোগ্রামের জন্য সনোলজিস্ট আফসার আল মাহমুদের মাধ্যমে বালুবাড়ী আবগ্রেড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান। কিন্তু সেখানে আলট্রাসনোগ্রাম না করে আফসার আল মাহমুদ রোগীকে দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী জোড়া ব্রিজে অবস্থিত ল্যাবএইড লিমিটেড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিশুটির আলট্রাসনোগ্রাম শুরু করা হয়। এ সময় শিশুটি বিরক্ত করলে সনোলজিস্ট আফসার আল মাহমুদ তাকে প্রথমে ধমক দেন। তাতেও শিশুটি বিরক্ত করলে তার দুই গালে চড় মারেন। এতে শিশুটি চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলে তিনি শিশুটির মুখ চেপে ধরেন। এনিয়ে শিশুটির মা-বাবা ও আত্মীয় স্বজনরা অভিযোগ করলে তিনি তাদেরকে নিয়ে ল্যাবএইড ডায়াগনস্টি সেন্টারের তিন তলায় ম্যানেজারের রুমে আলোচনায় বসেন। সেখানে সনোলজিস্ট আফসার আল মাহমুদ শিশুটির স্বজনদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পার পান।

এ ব্যাপরে জানতে চাইলে সনোলজিস্ট আফসার আল মাহমুদ বলেন, শিশুটি আসার পর থেকে কান্নাকাটি করছিল। কোনো অবস্থায় তাকে শান্ত করা যাচ্ছিল না। কিন্তু তার আলট্রাসনোগ্রাম করা জরুরি ছিল। তাই আমি শিশুটিকে প্রথমে ধমক দিয়েছি, তাতেও শান্ত করতে না পেরে তার দুই গালে দুটি করে চারটি চড় মেরেছি। এরপর মুখ চিপে ধরে আলট্রাসনোগ্রাম সম্পন্ন করেছি। এ কারণে শিশুটির বাবা-মা অভিযোগ করায় আমি শিশুটির বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি এবং শিশুটিকে চড় মারার কারণে কোনো ক্ষতি হয়ে থাকলে সে ক্ষতিপূরণও দিতে চেয়েছি।

এ ব্যাপারে দিনাজপুরের ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার সেলিম আক্তার চৌধুরী বলেন, শিশুটির ভালোর জন্য এটা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close