দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

হঠাৎ ছেলেধরা আতঙ্ক, গণপিটুনিতে হত্যার সংখ্যা বাড়ছে

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সারাদেশে ছেলেধরা আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা শহরে এক যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ‘শিশুর মাথা’ পাওয়ার পর তাকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকাবাসী। এই ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে দলবেঁধে বিভিন্ন জনের আক্রমণের ঘটনা ঘটছে।

শুক্রবার ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে  অজ্ঞাত দুই যুবক  আহত হওয়ার পর একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অজ্ঞাত এক যুবক গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।

শনিবার সাভারে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে আহত অজ্ঞাত এক নারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এরপর মধ্যরাতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পিটিয়ে হত্যা করা হয় আরেকজনকে।

অপরদিকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

শনিবার সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ছেলেধরা সন্দেহে তসলিমা বেগম রেনু নামের যে নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তার স্বজনরা বলেছেন, দুই সন্তানের জননী রেনু সত্যিই তার মেয়েকে ভর্তি করানোর জন্য খোঁজখবর নিতে সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিরপরাধ এই মানুষটিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

গতকাল (২০ জুলাই) রাতে পুলিশ সদরদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণপিটুনি দিয়ে মৃত্যু ঘটানো ফৌজদারি অপরাধ। কাউকে ছেলেধরা সন্দেহ হলে ‘গণপিটুনি’ না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিন।

পুলিশ সদরদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা রাষ্ট্রবিরোধী কাজের শামিল এবং গণপিটুনি দিয়ে মৃত্যু ঘটানো ফৌজদারি অপরাধ।” ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সদরদপ্তর বলেছে,“এসব ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।”

পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে ‘মানুষের মাথা লাগবে’ বলে সম্প্রতি ফেইসবুকে গুজব ছড়ানো হয়, যাতে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানায় সরকার। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close